শরণখোলা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
শরণখোলা উপজেলায় উপজেলা মৎস্য দপ্তর অভিযান চালিয়ে ৫০২০ মিটার মাছ ধরার জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪ চলছে সারা বাংলাদেশে। শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর ও ভোলা নদী ইলিশের প্রধান প্রজনন কেন্দ্র হওয়ায় সরকার ঘোষিত ১৩ অক্টোবর হতে ০৩ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ মাছ আহরণ,পরিবহন, মজুদ,বাজারজাতকরণ ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পুন্ন নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হওয়ায় শরণখোলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বলেশ্বর নদী নলবুনিয়া ও রায়েন্দা খালে অভিযান চালিয়ে ৫০২০ মিটার জাল অর্থাৎ ১৬ পিচ জালের মধ্যে ৩ টি বেহেন্দি জাল ৪ টি ইলিশ জাল ৯ টি চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে এবং অভিযানের সময় জেলেরা পালিয়ে যায়। জাল গুলো উদ্ধার করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরণখোলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম মেরিন ফিশারিজ অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম ও মৎস্য দপ্তরের কর্মচারীরা। শরণখোলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন ইলিশ মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুম মোট ২২ দিন নদী খাল,নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ । মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় কেউ যদি মাছ ধরে তাহলে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী আইন অমান্যকারীকে ৫০০০ টাকা জরিমানা অথবা ০১ থেকে ০২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হবে। তিনি আরো বলেন ইলিশের প্রধান মৌসুমে জেলেরা যেন মাছ না ধরে এজন্য শরণখোলা উপজেলায় সরকার মোট ৪৮৯৫ জন পরিবারকে ২৫ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। শরণখোলা উপজেলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করতে পর্যাপ্ত জনবল দরকার। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় আইন অমান্য করে জেলেরা মাছ ধরতে নদী ও খালে জাল পাতেন। তাই মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের মাধ্যমে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ বংশবিস্তার করতে পারে এজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ জনবলের প্রয়োজন।