বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন

মোংলায় নৌকার ১২ নেতা-কর্মীদের জখম করলো ঈগলের অনুসারীরা।

প্রতিদিন ডেস্ক:
  • Update Time : সোমবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫২১ Time View

মোঃ নূর আলম(বাচ্চু),মোংলা প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটের মোংলায় নির্বাচন পরবর্তী ঈগল প্রার্থীর অনুসারীদের দফায়-দফায় স্বশস্ত্র হামলায় নৌকা প্রতীকের ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভোটের দিন রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাইলতলা ও সুন্দরবন ইউনিয়ন এবং পরদিন আজ (সোমবার) সকালে পৌর শহরের শ্রম কল্যাণ রোডে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।

নৌকা প্রতীকের কর্মী আব্দুস সালাম বলেন, সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের শ্রমিকল্যাণ সড়ক এলাকায় ঈগল প্রতীকের কর্মী মো. সাকিলসহ ৫ থেকে ৬ জন সংঘবদ্ধ হয়ে নৌকার কর্মী আ. সালাম মোল্লা, শিউলি, কুলসুম ও ফারুক বয়াতীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের লাঠিসোঁটার মারপিটে নৌকার এই চার কর্মী গুরুতর আহত হন। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে দুপুরেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানায় আব্দুস সালাম। এদিকে এ ঘটনাকে ঘিরে পৌর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এর আগে ভোটের দিন রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাইলতলা ও সুন্দরবন ইউনিয়নে ঈগল প্রতীকের কর্মীদের সশস্ত্র হামলায় রক্তাক্ত জখম হন নৌকা প্রতীকের ৮ নেতাকর্মী। এদের মধ্যে নাজমুল নামে নৌকার এক কর্মীকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল পাঠানো হয়েছে। বাকী সাতজন হলেন- রবিউল শেখ (৪২), জুবায়ের সরদার (২৩), নাজমুল সরদার (২৪), তফিম সরদার (৩৫) ও আজমল সরদার (৩৫)। এদেরকে সোনাইলতলা গ্রামের ঈগলের কর্মী মহসিন সরদার, রেজাউল সরদার, কোহিনুর ও কারবালা সরদার কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

এর আগে নির্বাচন শুরুর প্রথম থেকেই এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌকার কর্মীদের নানা রকম হুমকি-ধমকিসহ মারপিট করে ঈগলের অনুসারীরা। এসব ঘটনায় থানায় মামলা হয় এবং আসামিও গ্রেফতার হয়েছে।

একের একের পর নৌকার কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রশাসনের আচরণ সন্দেহজনক উল্লেখ করে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ‘আমি আমার নেতা কর্মীদের ধৈর্য্য ধরতে বলেছি, কিন্তু তারা কতক্ষণ ধৈর্য্য ধরবে আমি বুঝতে পারছিনা। পুলিশকে এসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে বলা হলেও তারা সেটি করছেন না।’

এ প্রসঙ্গে মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্য মহোদয় বলার পর আমরা সেভাবে কাজ করছি। আর মারামারির ঘটনায় তিনি কোন অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় সে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102