শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন

৫ সিন্ডিকেটের কবলে অস্থির মোংলার বাজার

প্রতিদিন ডেস্ক:
  • Update Time : শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২
  • ৮৪৪ Time View

মোঃ নূর আলম(বাচ্চু),মোংলা প্রতিনিধি:

রমজানের আগের দিনেই দ্বিগুন বেড়েছে বেগুন, শশা, খিরাই, কাঁচা মরিচের দাম। দুই তিনদিন আগে বেগুনের কেজি ছিলো ৩০/৪০ টাকা। আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে।
৩০/৩৫ টাকার শশা, খিরাই বিক্রি হচ্ছে ৬০/৬৫ টাকায়। ৫০ টাকার কাঁচা মরিচ ও উচতা বিক্রি হচ্ছে ৮০/১০০টাকায়।এছাড়া কেজিতে ১০/২০ টাকা করে দাম বেড়েছে অন্যান্য কাঁচামালেরও। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকাররা দাম বাড়িয়েছেন তাই তারাও বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে মোংলা পৌর শহরের প্রধান বাজারে কাঁচামালের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। বাজারে মালের ঘাটতি নেই।

সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারদের সাথে যোগসাজসে স্থানীয় সিন্ডিকেট চক্রই পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ক্রেতা সাধারণের। এসব নিয়ে অবশ্য মাথা ব্যথা নেই স্থানীয় প্রশাসনের। ক্রেতারা বলছেন, প্রশাসনের তদারকি না থাকায় সিন্ডিকেট চক্র বেপরোয়া।

উপজেলা বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য নুর আলম শেখ বলেন, দেশের সব জায়গায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। তার প্রভাব মোংলার বাজারেও। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়েনি তারপরও দ্রব্যমুলের উর্ধগতি অকল্পনীয়। ফলে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। পৌর শহর ছাড়াও আশপাশের বাজারগুলোতে দাম কম। কিন্তু সিন্ডিকেট চক্র প্রধান এ বাজারে দাম দ্বিগুন বাড়িয়েছে। সিন্ডিকেট না ভাঙ্গলে কোনভাবেই দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

শহরের বাহিরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সবজি চাষী ও ব্যবসায়ীরা বলেন, মোংলা বাজারের ৫টি সমিতির (মাছ, মাংস, পান, মুরগী ও কাঁচা বাজার সমবায় সমিতি) সিন্ডিকেট চক্র এ বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে পৌর শহরের হাজার হাজার ক্রেতা সাধারণ। ৫ সমিতির সমন্বয়ে গঠিত নতুন এ সিন্ডিকেট চক্রের সভাপতি আফজাল ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ওরফে কসাই নজরুল ও ক্যাশিয়ার আলম ওরফে আলু আলম।

সমিতির নেতা আফজাল ফরাজী বলেন, আমরা আমাদের স্বার্থে অর্থাৎ কোন ব্যবসায়ী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এক হয়েছি, ব্যবসায়ীক শক্র মোকাবেলা করতে, দাম বাড়ানোর জন্য নয়। যদি কেউ দাম বাড়ায় আমরা তার পক্ষে থাকবোনা। যারা দাম বাড়াবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনের পক্ষে থাকবো বলে দাবী করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণে দুই একদিনের মধ্যে পুলিশ সাথে নিয়ে অভিযান চালানো হবে। এছাড়া প্রত্যেক দোকানে মুল্য তালিকা টানানো বাধ্যতামুলক করা হবে। আর সিন্ডিকেট চক্রও ভাঙ্গা হবে বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102