গতকাল শরীয়তপুর পৌরসভার একটি নির্বাচনী প্রচারে মাদকের বিরুদ্ধে ভাষণ নিয়ে শরীয়তপুরের স্বর্ণঘোষ এলাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে দশ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ শেখ; আজাহার নাট্টি, রোমিজ উদ্দিন শরীফ, রবিন শেখ, মানিক খান, আলমগীর মোল্লা, আবদুস সামাদ তালুকদার, দুলাল সরদার, বাদল হাওলাদার ও মতি কাজী।
তাদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও আশেপাশের বেসরকারী ক্লিনিকগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বেলা সোয়া ৪ টার দিকে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুর রশিদ সরদারের বড় ভাই আলো সরদারের সাথে ওয়ার্ড -২ কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ শেখের সমর্থকরা সংঘর্ষ শুরু হলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী পারভেজ রহমান, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহাদ হোসেন তোপু, শরীয়তপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মহসিন মাদবর এবং স্থানীয় আ.লীগ নেতারা অংশ নিয়েছেন।
তবে পারভেজ রহমানকে তার সমর্থকরা নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
“আসন্ন শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ইয়ার্ড সভার সময় দু’জন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়েছেন,” পারভেজ রহমান ডেইলি স্টারকে বলেছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতে, কাউন্সিলর প্রার্থী- আবদুর রশিদ সরদার ও ফরিদ শেখ – শরীয়তপুর -৩ সংসদ সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেনের অনুসারী।
কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ শেখের সমর্থক আজাহার অভিযোগ করেছেন, কাউন্সিলর থাকাকালীন রশিদ সরদার ওয়ার্ডের উন্নয়ন করেননি।
তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তার [Rashid] সমর্থকরা তাদের আক্রমণ করেছে, দাবি করেছেন আজাহার।
তবে রশিদ সরদার বলেছিলেন, “কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ শেখ মাদক মামলার আসামি। তাঁর বড় ভাই মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললে ফরিদের সমর্থকরা আমাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।”
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম উদ্দিন জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।”
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচন 16 জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।