বাগেরহাটের শরনখোলায় কালবৈশাখীর কবলে পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দিকী। ঝড়ের সময় তার চলন্ত গাড়ির ওপর বিশাল আকৃতির এক চম্বলগাছ ভেঙে পড়ে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রাণে বেঁচে যান ইউএনও এবং চালক সুজন সহ চার আনসার ও দুই স্টাফ।
ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে শরনখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মঠেরপাড় এলাকার আঞ্চলিক মহাসড়কে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং গাছ কেটে ইউএনওর গাড়িটি উদ্ধার করেন।
এদিকে কালবৈশাখীতে অসংখ্য ঘরবাড়ি, গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা ভারি বৃষ্টি ও প্রবল ঝড়ে উপজেলার ঘরবাড়ী ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
ইউএনও নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত নিজ নিজ গাড়িতে রাজৈর গ্রামের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে দুপুর আড়াইটার দিকে গাড়িটি মঠেরপাড় এলাকার আঞ্চলিক মহাসড়কে উঠতেই ঝড় শুরু হয়।
এরই মধ্যে সড়কের পাশের বিশাল এক চম্বলগাছ ভেঙে গাড়ির ওপর এসে পড়ে। গাড়িতে চালক, স্টাফ সহ আটজন ছিলাম। গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আমরা সবাই অক্ষত আছি। তবে গাছটি গাড়ির মাঝখানে পড়লে আমরা সবাই মারা যেতাম। উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িটি আমাদের কিছুদূর পেছনে ছিল।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, ‘সকালে রাজৈর গ্রামের লুৎফর মুন্সীর বসতঘর আগুনে পুড়ে যায়। আমি এবং ইউএনও সাহেব সেই বাড়িতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে ঝড়ের কবলে পড়ি। আমার সামনে তার গাড়ি চলছিল। এ সময় হঠাৎ গাছটি গাড়ির ইঞ্জিন কভার বরাবর ভেঙে পড়ে তবে মাঝ বরাবর পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতো।