বাগেরহাটের শরণখোলায় কুলসুম আক্তার সাথী (১৯) নামের তিন মাসের অন্তসত্বা এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত কুলসুম ওই গ্রামের সাইকেল মেকানিক আরিফ ফরাজির স্ত্রী।
নিহতের ফুফাতো ভাই আব্দুর রহিম জানান, এক বছর আগে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের পান্না ফরাজীর ছেলে আফিরে সঙ্গে বিয়ে হয় কুলসুমের। বিয়ের পর থেকেই শ্বাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। ছয় মাস আগে স্বামী-শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে তাকে পিটিয়ে আহত করে। সেসময় তাকে শরণখোলা হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিক্যালে চিকিৎসা করানো হয়। এভাবে ভিন্নি সময় নির্যাতন চালানো তার ওপর।
তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আরিফ ফোন করে কুলসুম গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা ওই বাড়িতে গিয়ে কুলসুমের লাশ নিচে পড়ে থাকতে দেখেন। তার গলার দুই পাশে দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলা টিপে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কুলসুম আক্তার তিন মাসের অন্তসত্বা ছিলেন।
এব্যাপারে নিহতের স্বামী আরিফ ফরাজী বলেন, রাত (শরিবার) রাত ১১টার দিকে বাজার থেকে বাড়িতে ফিরে বাথ রুমে যাই। এর পর ঘরে ঢুকে কুলসুমকে ঘরে দক্ষিণ পাশের বারান্দায় চালের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখি। তাকে কোনো প্রকার নির্যাতন করা হয়নি।
শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার জানান, সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।