বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম একটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ ) দুপুরে উপজেলার মালিয়া গ্রামের কিশোর গাইন ও মোঃ তৌহিদুল ইসলাম নামে দুই জনকে আটক করে বালু মহল ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইন ২০১০ এর (৫)১ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সরকারি খাল থেকে মাটি উত্তোলন করে আসছে এমন গোপন সংবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ী এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ গাইনের পুত্র কিশোর গাইন ও উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা আঃ মজিদ আকনের পুত্র মোঃ তহিদুল ইসলাম কে মালিয়া রাজাপুর এলাকার সরকারি খালে অবৈধ ভাবে বালু মাটি উত্তোলন করার দায়ে আটক করে এবং তাদের মাটি কাটার ড্রেজারটি জব্দ করে। পরে নির্বাহী মেজিস্ট্রেট বালু মহল ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইন ২০১০ এর (৫)১ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার মেশিনের মালিক বাচ্চু বয়াতি মালিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মাদ তালুকদারের বাড়ি ভরাটের জন্য সরকারি খাল থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করেন। ভূ-গর্ভস্থ বালু উত্তোলের ফলে খালের দুই পাড়ের কয়েকটি বসতবাড়ি ও বাগানবাড়ি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ড্রেজারের প্রচন্ড শব্দ আর কম্পনের ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ অভিযোগেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয় নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.জাহিদুল ইসলাম বলেন,“নিষিদ্ধ ড্রেজার দিয়ে সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন করায় সেটি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে এবং দুইজনকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত হবেন না এই মর্মে অঙ্গীকার করেন। তবে ড্রেজার মালিক বাচ্চু বয়াতিকে পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, বোরিং ড্রেজার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।