দশদিন আগে রাজধানীতে র্যাব পরিচয়ে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, চক্রটি শুধু ঢাকাতেই নয়, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জেও একই কায়দায় অন্তত ২৫টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- সুমন মিয়া (৪৮), মাসুদ রানা (৫৩), আশরাফুল ইসলাম ওরফে আপেল (৪০), ইকবাল হোসেন ওরফে ইসলাম (৪৫) এবং সাইদুল হক (৪৩)।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার আজিমুল হক মঙ্গলবার দুপুরে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে মোহাম্মদপুরে ইস্রাফিল (২১) নামের এক ব্যক্তি প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কার তার গতিরোধ করে।
“গাড়ি থেকে র্যাবের জ্যাকেট পরা তিনজন নেমে তাকে মারধর করে তুলে নয়। পরে ইস্রাফিলকে শেরেবাংলা নগরের বাণিজ্য মেলার মাঠের পাশে নামিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। “
এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে দেখতে পায়, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় একই ধরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
আজিমুল হক জানান, রিং রোডের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে দুই শতাধিক ভিডিও ফুটেজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে একটি প্রাইভেট কার এবং এক ব্যক্তির সন্দেহজন চলাফেরা লক্ষ্য করা যায়।
“এই সূত্র ধরে এগিয়ে মঙ্গলবার সকালে টাউন হলের কাছে একটি ব্যাংকের সামনে সন্দেহজনক একটি প্রাইভেট কারের অবস্থান দেখে সাদা পোশাকের পুলিশ কারটি ঘিরে ফেলে। কারের ভেতরে থাকা পাঁচজনকে গ্রেপ্তার এবং প্রাইভেট কারের চারটি ভুয়া নম্বর প্লেট, ইংরেজিতে র্যাব লেখা কালো রংয়ের দুইটি কোটি, একটি কালো ক্যাপ, একটি খেলনা পিস্তল, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি লাঠি ও পুলিশ লেখা দুইটি স্টিকার জব্দ করা হয়।”
গ্রেপ্তাররা রিং রোডসহ ২৫টি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সুমন মিয়া এবং আশরাফুলের বিরুদ্ধে ১১টি করে, মাসুদ রানার বিরুদ্ধে ছয়টি এবং ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।