মোঃ নূর আলম(বাচ্চু),মোংলা প্রতিনিধিঃ
মোংলা বন্দরের উন্নয়নে দুই দিনব্যাপী কৌশলগত “মাস্টার প্লান কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়,প্রধান অতিথি রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও একটি স্ট্রাটেজিক মাস্টার প্লান প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে আান্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই পরিকল্পনা মোংলা বন্দরের একার পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। বন্দর সংশ্লিষ্ট সরকারের অন্যান্য সংস্থা তথা সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রেল কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ. বন ও পরিবেশ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, কাস্টমস, বন্দর ব্যবহারকারীসহ সকল সংস্থার সহযোগীতার মাধ্যমেই এর বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়োজনে দক্ষ বন্দর সক্ষমতা বিকাশের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কৌশলগত ‘মাস্টার প্লান’ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০ টায় সিটি ইন হোটেলে অনুষ্ঠিত দুই দিন ব্যাপি কর্মশালার প্রথম দিন “মোংলা বন্দরের জন্য কৌশলগত মাস্টার প্ল্যান” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মি. অগাস্টিন জোহানেস, কনসালট্যান্ট, ইনরোস ল্যাকনার এসই, প্রফেসর ড. কাজী হামিদুল বারী (কুয়েট), মি. রালফ আলফ্রেড বেরেন্স, ইনরোস ল্যাকনার এসই, বন্দর কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তা, সিবিএসহ মোংলা কাস্টমস প্রতিনিধি ও বন্দর ব্যবহারকারীগণ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত এই কর্মশালায় ব্রেমেন (জার্মানি) থেকে কনসালট্যান্ট ইনরোস ল্যাকনার এসই এবং তাদের অংশীদার স্ট্রাটেজিক প্লানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বন্দর ব্যবহারকারী সকল স্টেকহোল্ডার এবং ক্লায়েন্টদের কাছে মাস্টার প্ল্যানটি উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও একটি স্ট্রাটেজিক মাস্টার প্লান প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে আান্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই পরিকল্পনা মোংলা বন্দরের একার পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। বন্দর সংশ্লিষ্ট সরকারের অন্যান্য সংস্থা তথা সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রেল কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ. বন ও পরিবেশ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, কাস্টমস, বন্দর ব্যবহারকারীসহ সকল সংস্থার সহযোগীতার মাধ্যমেই এর বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”
মোংলা বন্দরের এই মাস্টার প্লানের মূল লক্ষ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে সংগতি রেখে কৌশলগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২৫ এর অর্জন এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ অর্জন, যাতে বন্দর জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখতে পারে।
মোাংলা বন্দরে রেল সংযোগ, পদ্মা সেতু এবং সড়ক ও রেলপথের আরও উন্নতির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং দেশের পশ্চিাঞ্চালের উন্নয়নে বন্দরের সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে ১৭.৮ মিলিয়ন টন কার্গো হ্যান্ডলিং ২০২৪/২০২৫ এবং ২০২৯/২০৩০ সালে ২৪.৯ মিলিয়ন টন এবং ২০৩৯/২০৪০ সালে ৪৭.৪ মিলিয়ন টনে উন্নীত করা হবে।
২০৭০/৭১ এবং ২০৯৯/২১০০ সালে মোংলা বন্দরের ১০০ মিলিয়ন টন পর্যন্ত কার্গো হ্যান্ডলিং এ দীর্ঘমেয়াদী অর্জন প্রত্যাশা করা যায়। মোংলা বন্দরের জন্য মাস্টার প্লান হবে দক্ষ বন্দর সক্ষমতা বিকাশের জন্য একটি রোডম্যাপ।