শরণখোলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ কম। এছাড়াও উৎপাদিত ভুট্টা বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা এই ফসল চাষে ঝুঁকছেন। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। জমিতে ভালো ফলন দেখে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
জানা যায়, বাগেরহাটের সবগুলো উপজেলায় কম বেশি ভূট্টার আবাদ করা হয়েছে। তবে তরমধ্যে শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ও সাউথখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চরে এবং চাষি জমিতে ভুট্টার ব্যাপক চাষ হয়েছে। এখানকার কৃষকরা আগে ভুট্টার মাড়াই ও ঝাড়াইয়ের সমস্যার কারণে এই ফসলের চাষ ছেড়ে দিয়েছিল। তবে বর্তমানে আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে খুব সহজেই ভুট্টা মাড়াই করতে পারছেন। তাই এখন আবার ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। এখন কৃষকরা তাদের জমি থেকে ভুট্টা তোলার কাছে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকদের চোখে মুখে খুশির হাসি দেখা গেছে।
উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের চাষি মোঃ নূরুল ইসলাম মীর বলেন, বাজারদর ভালো থাকলে ভুট্টা চাষ খুবই লাভজনক। বিঘাপ্রতি জমিতে চাষ, বীজ, সেচ, সার ও কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বিঘাপ্রতি ৪০-৪৫ মণ ভুট্টা উৎপাদন হয়। আমার জমিতে ভুট্টার অধিক ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ ভুট্টা ১০০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।
মঠেরপাড় গ্রামের চাষি আসাদুজ্জামান মিলন মাল বলেন, এবছর আমি ৪০ শতাংশ জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় কোনো রোগবালাই দেখা দেয়নি। তাই এবার ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি আমরা। আর বাজারদর ভালো থাকলে লাভ করতে পারবো।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসান বলেন, আমরা কৃষকদের অনাবাদি পতিত জমিগুলো চাষের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এই মৌসুমে ৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা অল্প খরচে বেশি ফলন ও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। এই বছর ২০টি প্রদর্শন দিয়েছি এবং ১৫০ চাষিকে কৃষি পন্য দিয়েছি । আশা করছি আগামীতে চাষের পরিমান আরো বাড়বে।