ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি ->> ডুমুরিয়ার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা,লেঃ কর্ণেল(অবঃ) এইচ এম এ গাফফার (বীর উত্তম) গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহে…….রাজেউন)।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা এইচ এম এ গাফফার(৭৬) অনেক দিন যাবত শ্বাস কষ্ট ও ডায়বেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভূগছিলেন।
৮ই এপ্রিল হঠাৎ বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এইচ এম এ গাফ্ফার হালদারের পৈতৃক বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আরাজি-সাজিয়ারা গ্রামে।
তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী ২ ছেলে ও ২ মেয়ে-সহ অসংখ্য গুণগ্রাহি রেখে গেছেন।
১৯৭১ সালে এইচ এম এ গাফফার হালদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর চতুর্থ ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। ২৫ মার্চ তিনি অবস্থান করে ছিলেন ব্রাক্ষণবাড়িয়া।
২৭ মার্চ তারা বিদ্রোহ করে মুক্তিযোদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন। প্রতিরোধ যুদ্ধ শেষে তিনি ভারতে যান। সেখানে মন্দভাল সাবসেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৭১ সালের ৭ থেকে ৯ অক্টোবর ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার অন্র্Íগত সীমান্ত এলাকায় সালদা নদীতে বেশ যুদ্ধ হয়। সালদা নদীর পাশেই ছিল ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট রেলপথ।
সেখানে রেলস্টেশনও ছিল। ১৯৭১ সালে ওই রেলস্টেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই রেলস্টেশন এলাকায় পাকিস্তান বাহিনী শক্ত প্রতিরক্ষা অবস্থানে ছিল। ওই ঘাটিতে মুক্তিবাহিনীর কয়েকটি দল একযোগে পাকিস্তানী বাহিনীর উপর আক্রমণ চালায় ।
এর মধ্যে একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন এম এ গাফফার। তার নেতৃত্বে সেদিন পাকিস্তানী বাহিনী পালিয়ে যায়।
তিনি ১৯৭১ সালে ঈদের দিন ১১/১২টি সফল গেরিলা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা(বীর উত্তম) খেতাব প্রাপ্ত হন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় জানাযা শেষে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।