অন্তঃসত্ত্বা ও বিবাহিত ছাত্রীদের হলে সিট বাতিলের বিধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক,বৈষম্যমূলক ও সংবিধানবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এবং শামসুন নাহার হলে বিবাহিত দুই ছাত্রীর সিট বাতিল করায় বিষয়টি সামনে এসেছে সবার। সাধারণভাবে বিবাহিত ছাত্রীরা হলে থাকলেও তা চিহ্নিত হয় না। কিন্তু ওই দুই ছাত্রী সনাতন ধর্মের হওয়ায় করোনার পর তারা শাখা-সিঁদুর পরে হলে আসায় তাদের চিহ্নিত করা হয় এবং সিট বাতিল করা হয়।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, নারী-পুরুষ বা জন্মস্থানের কারণে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কোনো শিক্ষার্থীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে না। বিবাহিত ছাত্রীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নিয়ম নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথে প্রতিবন্ধকতার কারণ এবং পাশাপাশি বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ ও ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পাওয়া প্রত্যেক বৈধ ছাত্রীর অধিকার। বিবাহিত ছাত্রীদের সিট বাতিলের বিদ্যমান এ নীতিমালা নারীর প্রতি চরম বৈষম্যমূলক ও অবিবেচনাপ্রসূত। দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেখানে নারী ক্ষমতায়ন ও নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সেখানে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের এ ধরণের নীতিমালা আমাদের অনেক পিছিয়ে দেয়।
লেখক ভট্টাচার্য আরও বলেন, সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অতীতে সব সময় পাশে পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।