শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

বাগেরহাটে গলায় ছুরি ধরে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে গনধর্ষণ

বিশেষ প্রতিনিধি:-
  • Update Time : শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯০ Time View

বাগেরহাটের কচুয়ায় ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৪) গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার উপজেলার কলমিবুনিয়া গ্রামে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে প্রবেশ করে গলায় ছুরি ধরে স্থানীয় চার বখাটে তাকে ধর্ষণ করে। এদিন রাতে মেয়েটির বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। গুরুতর অসুস্হ অবস্থায় ২৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে নির্যাতিতা শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার পরিবার। এঘটনায় ধর্ষকদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতা কিশোরী কচুয়া উপজেলার মসনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নির্যাতিতা ছাত্রী জানান, বুধবার বাবা ও মা আমার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এজাজুল মোল্লা, সোহেল শেখ, টিপু শেখ ও সজিব মোল্লা কৌশলে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে তারা আমার গলায় ছুরি ধরে এবং দড়ি দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। তাদের অত্যাচারে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
ধর্ষণে অভিযুক্ত এজাজুল মোল্লা (২২) কলমিবুনিয়া গ্রামের কাদের মোল্লার ছেলে, সোহেল শেখ (২২) একই গ্রামের আজাহার শেখের ছেলে, টিপু শেখ (২৫) একই গ্রামের ইউসুফ শেখের ছেলে এবং সজিব মোল্লাও (২৫) একই গ্রামের বারেক মোল্লার ছেলে। অভিযুক্তরা এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় অনেক মেয়ের সাথে এর আগেও তারা খারাপ ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা। ইউপি সদস্য বলেন, বাধাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকিব ফয়সাল অহিদসহ আমরা সকলে মিলে মেয়েটি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আমরা অত্যাচারকারী বখাটেদের কঠোর শাস্তি চাই।

নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী খুলনায় ছিলাম। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আমরা বাড়িতে আসি। মেয়ের কাছে বিষয়টি শুনে, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমি আমার মেয়ের ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স তুলশী রানী বিশ্বাস বলেন, মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের ফলে মেয়েটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করছি।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আমরা মেয়েটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করছি।

এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আছাদুজ্জামান বলেন, খবর শুনে আমরা হাসপাতালে এসেছি। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের অভয় দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102