বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (১৮ এপ্রিল) জেলা ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য জানা গেছে। স্থগিত ঘোষনার পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান আল সুলতান ওশান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি তাদের নিজ নিজ ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি আসাদুজ্জামান আসাদকে সভাপতি ও সাইফুল ইসলাম সাব্বিরকে সাধারণ সম্পাদক করে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দিয়েছিল জেলা ছাত্রলীগ।
ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে নানা রকম বিতর্কের জন্ম দেয় তারা। এদিকে, কমিটি অনুমোদনের এক বছর তিন মাসের মাথায় স্থগিতের খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয় বিষয়টি। স্থগিত কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাব্বিরবিরোধী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের নামে-বেনামে পরিচালিত ফেসবুক আইডি থেকে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনায় মেতে উঠেছেন।
শরণখোলার রাজনৈতিক মহলেও আলোচনার শীর্ষে রয়েছে বিষয়টি। ছাত্রলীগের আসাদ-সাব্বির বিরোধী এবং পদ বঞ্চিত কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ছাত্রলীগের গটনতন্ত্র অনুযায়ি বিবাহিতরা কোনো পদে আসতে পারবেন না। কিন্ত, আসাদ এবং সাব্বির দুজনেই বিবাহিত। একটি ধর্ষণ মামলায় সম্প্রতি জেলে যান সভাপতি আসাদ। পদ পাওয়ার আগে সাধরাণ সম্পাদক সাব্বির মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
তারা দুজন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। তাদের এমন কর্মকান্ডে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রীগের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থায়ীভাবে বিলুপ্ত ঘোষনা করে একটি পরিচ্ছন্ন কমিটি করার দাবি জানান তারা।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান আল সুলতান ওশান বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ একটি ধর্ষণ মামলায় কিছুদিন আগে কারাভোগ করেছেন। বহু পুরনো মামলাটির বিষয়ে আমাদের জানা ছিলনা। এতে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষন্নি হয়েছে। একারণে জেলা কমিটির এক জরুরী সিদ্ধান্তে কমিটি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।