মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন

নেপথ্যে ভূৃমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল ৩ ফসলি জমি অধিকরণ

বাগেরহাট নিউজ ২৪ ডেস্ক:
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৪৫৯ Time View

নড়াইল প্রতিনিধিঃ

সরকারের নানামুখী উন্নয়ন মূলোক কর্মকাণ্ড জেলায় বিভিন্ন স্থানে দৃশ্য মান হবে। সেই লক্ষ্যে জেলায় চলছে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম। আর এই কার্যক্রমকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যু চক্র। এই চক্র ডিসি অফিসের কতিপয় কিছু দূর্নীতি পরায়ন অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর এই টাকার মোটা অংশ চলে যাচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার টেবিলে। অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি সময়ে সদরের মুলিয়া ইউনিয়নের বনগ্রামে বছর ব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প( ২য় সংশোধন) এর আওতায় জেলায় নতুন হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপনের নিমিত্তে ৬৩ নম্বর নড়াইল মৌজায় ৫.০৮০০ একর ভূমি ০২/২০২০-২০২১ নম্বর এল.এ.কেসমূল্যে অধিগ্রহণ করা হয়।অধিগ্রহণ কৃত জমি যৌথ তালিকায় বর্ণিত স্থাপনা ও গাছ পালাসমূহের দখল জেলা প্রশাসক, নড়াইলের পক্ষে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ২৪-০৫/২০২২ তারিখে ১০ টায় প্রত্যাশী সংস্থার প্রতিনিধি উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান, দখল হস্তান্তর করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপনের নিমিত্তে অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হলে কোন ভূমি মালিক সংশিষ্ট বিষয়ে কিছু জানেন না। তফসীল জমির মালিক কোন নোটিশ পাই নাই। কতিপয় কিছু দূর্নীতি পরায়ন অসাধু কর্মকর্তা ও ভূমিদস্যুদের যোগসাজশে বড় ধরনের সিন্ডিকেট গঠন করে এই অধিগ্রহণ কার্যক্রম করেছেন। সম্প্রতি সময়ে ওই জমিতে বালু দিয়ে ভরাট করতে গেলে ঝট নড়ে উঠে জমির মালিকদের। জমির মালিকরা দল বেঁধে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা পলাশ মন্ডলের নিকট নোটিশ না পাওয়া র কারন জানতে চাইলে তিনি কোন সন্তোষ জনক জবাব দেয়নি। ফলে দূর্নীতির বিষয়টি আরো সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বনগ্রামের জমির মালিক দীপক সরকার বলেন, জমি একর হয়েছে আমরা কেউ জানি না। আমাদের কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। এখন কৃষি অফিসের লোক আমাদের জমি চাষাবাদ করতে নিষেধ করছে। ৩ ফসলের জমি এই জমি চাষাবাদ করে আমি সংসার চালাই।

জমির মালিক বাবুল লাল বলেন, নড়াইলে বাড়ই হওয়ায় বনগ্রামে জমি দেখতে খুবই কম যাওয়া পড়ে। ৫ মাস আগে জমি অধিগ্রহণ হয়েছে আজ লোক মুখে শুনছি। এখন ও কোন নোটিশ আমাকে দেওয়া হয়নি। জমির কত দাম ধরা হয়েছে তা ও জানিনা।
গোয়ালবাড়ি গ্রামের নিশিকান্ত বলেন, জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন একটি চক্র। যার সাথে ডিসি অফিসের কিছু কর্মকর্তা সরাসরি জড়িত রয়েছে।
যানাগেছে, জমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকা খেয়ে ভূমিদস্যুদের সাথে গভীর প্রেমে লিপ্ত হয়েছে। ভূমি খেকো আর ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা যোগসাজশে এই অনিয়ম দূর্ণীতি হয়েছে মর্মে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মন্ডল সাংবাদিক দের সাথে রুক্ষ মেজাজে কথা বলেন, ক্যামেরা বন্ধ করার জন্য ইংরেজি বাংলায় কথা বলেন। দূর্নীতির বিষটি প্রচারের ভয়ে নিজেকে অনেক বড় অফিসার দাবি করে বলেন ভূমি অধিগ্রহণের কোন তথ্য দেওয়া যাবে না৷
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন,ভূমি অধিগ্রহণে কোন প্রকার অনিয়ম দূর্ণীতি হলে সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102