মোঃ নূর আলম(বাচ্চু),মোংলা প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘আশনির’ প্রভাবে বাগেরহাটের মোংলায়ও আজ সোমবার সকাল থেকে ভারি ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে মোংলা সমুদ্র বন্দর ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে এ এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখা যায়। তবে দমকা বা ঝড়ো বাতাস নেই।
এদিকে ‘আশনি’র প্রভাবে মোংলাসহ অন্যান্য শহরগুলোতে বৃষ্টি স্বস্তি এনেছে। বৈশাখের প্রচন্ড গরমে মানুষ যখন অস্থির তখন বৃষ্টির ছোঁয়া মানুষকে স্বস্তি দিলেও হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি বাইরে বেরোনো মানুষদের দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে।
সকাল থেকে ভারি ও মাঝারি বৃষ্টি প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হওয়ায় মোংলা বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তবে যেকোন সময় তুমুল ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা আছে বলেও জানান তারা।
ঘূর্ণিঝড় ‘আশনির’ প্রভাবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে উপকূলীয় এলাকায় এখনো বাতাসের চাপ কিংবা নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়নি।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে মোংলা থেকে ১০২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করায় এর প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
কোন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে এজন্য গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিশেষ করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে বন বিভাগও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ও হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আসানির সম্ভাব্য প্রস্তুতি স্বরূপ নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বন্দর জেটিতে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের জাহাজগুলো নিরাপদে অবস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বন্দর চ্যানেলে দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের অবস্থান ও চলাচলে সতর্কতা আরোপ করা হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে বন্দরের নিজস্ব নৌযান ও বিদেশি জাহাজের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।