গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮০টির বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিলঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে আজমত উল্লাকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ চলে। পরে সন্ধ্যায় গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে ফল ঘোষণা শুরু করেন ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শেষে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, এমন ভোটে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। কারণ প্রার্থীসহ সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সারাদিনের ভোটে কেউ কোনো অন্যায় করেনি, এটি আমাদের বড় সফলতা।
৩২৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজীপুর সিটির তৃতীয় নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে রয়েছে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্র। সব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। এসব কেন্দ্রে লাগানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৮ জন। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন লড়লেও আলোচনায় রয়েছেন নৌকি মার্কা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন। বাকি প্রার্থীরা হলেন- লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম।