খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের অবহেলা ও খামখেয়ালীতায় জীবিত সন্তান প্রসবের পর এক নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মৃত শিশুর স্বজনেরা অভিযোগ তুলেছেন।
নবজাতকের বাবা রাশেদ সরদার জানান, তিনি বর্তমানে শ্বশুর বাড়ী জায়গীরমহল থাকেন গতকাল সোমবার সকালে আমার স্ত্রী আয়েশা আক্তারের প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে পার্শবর্তী হাসপাতালে নিয়ে আসি, এরপর প্রসূতিকে প্রসবের কক্ষে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরবর্তীতে নরমাল ডেলিভারিতে রাত ৯টার সময় মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ট হয়, হাসপাতালের ৩য় তলায় নবজাতক শিশুটি অক্সিজেন দেয়া অবস্থায় ছিল। এমন সময় হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স কানিজ আতিকা, মুক্তা ঘোষ, শামীমা আক্তার সহ আরো দুই জন নার্স অক্সিজেন খুলে জরুরী বিভাগে নিয়ে যেতে বলে, আমি জরুরী বিভাগে গেলে সেখান কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে আবার ৩য় তলার নার্সদের কাছে পাঠায়, এমন করে তিন চার বার জরুরী বিভাগ ও তিন তলার গোলাক ধাঁধায় ফেলে। নার্সদের উদাসীনতায় এর মধ্যে অক্সিজেনের অভাবে আমার সন্তানের মৃত্য হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা ডাঃ সুদীপ বালা জানান, নবজাতক শিশুটি কান্না না করায় সেবিকারা জরুরী বিভাগে পাঠায়। তবে নবজাতককে অক্সিজেন ছাড়া সেবিকাদের নিচে জরুরি বিভাগে পাঠানো ঠিক হয়নি। সেবিকাদের বিষয়টি ভুল হয়েছে, এমন ঘটনা পরবর্তীতে যাহাতে না ঘটে সে বিষয়ে তাদেরকে সর্তক করেছি।
খুলনা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করবো।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগীরা মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন।