শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন

করমজলের বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রে ৩৪ টি ডিম দিলো ‘বাটাগুর বাসকা’

নিউজ ডেস্ক:
  • Update Time : রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২
  • ৭৪৯ Time View

মোঃনূর আলম(বাচ্চু),মোংলা প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আবারও ডিম দিলো বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’।

রবিবার (০৬ মার্চ) করমজল প্রজনন কেন্দ্রে একটি বাটাগুর বাসকা ৩৪ ডিম দেয়। এ ডিমগুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন (বালুর মধ্যে রেখে) করে বাচ্চা ফুটানো হবে।

এতে ৬৫ থেকে ৬৭ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগ। এ নিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো করমজলে ডিম পারল বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা। এর আগে ২০১৭ সালে দুটি বাটাগুর ৬৩টি ডিম দেয়, যা থেকে ৫৭টি বাচ্চা হয়। পরে ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপ ৪৬টি ডিম দেয়, তাতে ২৪টি বাচ্চা ফোটে। ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপে ৩২টি ডিম পাড়ে তাতে ৩২টি বাচ্চা ফোটে। ২০২০ সালে দুটি কচ্ছপ ৫৬ টি ডিম দেয় ও তাতে ৫২ টি বাচ্চা ফোটে। সর্বশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে চারটি কচ্ছপ ৯৬টি ডিম পাড়ে তা থেকে ৭৯ টি বাচ্চা ফোটে। ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন (বালুর মধ্যে) ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। ৬৫ থেকে ৬৭ দিন শেষে এই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে বলে জানান সুন্দরবন করমজলের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।

সুন্দরবন করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, আজ একটি কচ্ছপ ৩৫টি ডিম দিয়েছে। আমরা সবগুলো ডিমই প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন (বালুর মধ্যে রেখে) করে বাচ্চা ফুটানোর চেষ্টা করব। আশা করি, ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে সবগুলো ডিম থেকে বাচ্চা বের হবে।

তিনি আরও বলেন, বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির এই কচ্ছপ আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে লালন-পালন করছি। বংশ বৃদ্ধির জন্য সার্বক্ষণিক নজরে রাখছি। এর আগেও আমাদের এখানে কচ্ছপ ডিম দেয়। সেই ডিম থেকে বাচ্চাও ফুটেছে।

২০০০ সালের দিকে বন্যপ্রাণী গবেষকরা মনে করেন, পৃথিবীতে বাটাগুর বাসকার আর কোনো অস্তিত্ত্ব নেই। পরে ২০০৮ সালে গবেষকরা প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা আছে কি-না তা খুঁজতে শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে ৮টি বাটাগুর বাসকা পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ ও ৪টি স্ত্রী। পরে প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে। বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা নিবিড়ভাবে লালন-পালন ও প্রজননের চেষ্টা করে বাটাগুর বাসকা গুলোকে। তারপরও তেমন সাফল্য পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক বছরে গাজীপুরে প্রায় ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল ৮টি মা কচ্ছপ। সেখানে ভালো সারা না পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102