খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ
“করো যোগ, রহো নিরোগ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনার কয়রা উপজেলার ১নং আমাদী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ চন্ডীপুর ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে ২১ জুন ২০২২, মঙ্গলবার দিবসটি পালন উপলক্ষে সকাল থেকে বিভিন্ন রকম যোগ প্রদর্শন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিঃ মনিন্দ্রনাথ বৈরাগী, ২য় পর্বে যোগ দিবসের তাৎপর্য আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি ও খান সাহেব কোমর উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায় এর সভাপতিত্বে ও খান সাহেব কোমর উদ্দিন কলেজের অধ্যাপক অমল কৃষ্ণ বাওয়ালীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা নির্বাহি অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অদৃশ আদিত্য মন্ডল। সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল আলম, তাইকোন্ডু প্রশিক্ষক ও খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল হোসেন।
ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এন পি এস) গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কয়রা উপজেলার সভাপতি গাজী নজরুল ইসলাম।
উক্ত বিদ্যালয়েন সহপ্রধান শিক্ষক উদ্ধব কুমার ঢালী, সহকারী শিক্ষক গৌরপদ সানা, অনুপ কুমার বাছাড়, মোঃ কামরুল ইসলাম, অসীম কুমার বৈদ্য, বিকাশ চন্দ্র মন্ডল, বিশ্বজিত কুমার সানা, প্রদীপ কুমার বৈদ্য, সুচিত্রা হালদার, অমিত কুমার ঢালী, কৃষ্ণপদ গাইন, নিরোধ কুমার মন্ডল, বিজয় কুমার দাশ প্রমুখ।
এসময় বক্তব্যে যোগ ব্যায়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন যোগাসন আমাদের পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ—যেমন পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্র, যকৃৎ কার্যকর করে। ফলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। চাপ দূর করতে যোগাসনের বিকল্প নেই। শরীরের রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে যোগাসন, যার ফলে অভ্যন্তরীণ শক্তিপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে আমরা কর্ম–উদ্যমী হয়ে উঠতে পারি।
মানব জীবন হল আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। আমাদের অস্তিত্ব হিসেবে আমরা পেয়েছি দেহ, মন ও আত্মা। আমাদের এই দেহ, মন ও আত্মা একীভূত করার নামই ইয়োগা বা যোগ।
নিয়মিত যোগচর্চার মাধ্যমে অসুস্থ শরীর রোগমুক্ত ও সুস্থ হয়ে ওঠে এবং সুস্থ শরীর আরও তেজ ও সতেজ হয়ে ওঠে। চঞ্চল ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মন শান্ত হতে থাকে।
এ অবস্থায় বুদ্ধি দ্বারা আমরা শান্ত মনকে চালনা করতে পারি এবং আমাদের দেহও মনের সঙ্গে সমান তালে সাড়া দেয়। যোগানুশীলনের ধারাবাহিকতায় অশান্ত মন যখন সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত ও শান্ত হয়ে পড়ে তখন আমাদের ‘আত্মার’ উপলব্ধি হয়।