শরনখোলা উপজেলার এইচ.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্র রায়েন্দা রাজৈর ফাজিল মাদ্রাসার ৫নং কক্ষ থেকে শরনখোলা সরকারি ডিগ্রী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এক পরীক্ষার্থীর জীববিজ্ঞান পরীক্ষার একটি উত্তর পত্র পাওয়া যাচ্ছে না। পরীক্ষার্থী তামিম ইকবাল বলেন তিনি কক্ষ পরিদর্শকের কাছে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে তিন জন কক্ষ পরিদর্শক মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মাহফুজুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ মফিজুল হক কৃষি ইনস্টিটিউটের প্রভাষক আবুল হাসেম ও চাঁদনী বিশ্বাস দাবি করেন পরীক্ষা শেষে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র গণনাকালে তার লিখিত পরীক্ষার উত্তর পত্রটি পাওয়া যায়নি। তবে এম.সি.কিউ উত্তর পত্রটি আগেই জমা দিয়েছেন। এইচ.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও শরণখোলা সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আলম ফকির বলেন তিনি বিষয়টি শুনে সাথে সাথে শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামীম,পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেনকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তাৎক্ষণিক পরীক্ষার্থী তামিম ইকবালকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। পরীক্ষার্থী তামিম ইকবালের দাবি লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা দিয়ে পরীক্ষা কক্ষ থেকে বেরিয়েছে। অন্যদিকে মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মাহফুজুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল হক কৃষি ইনস্টিটিউটের দুইজন প্রভাষক আবুল হাশেম ও চাঁদনী বিশ্বাস দায়িত্ব পালনকারী কক্ষ পরিদর্শকরা জানিয়েছেন, তারা পরীক্ষা শেষে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র গণনা কালে একটি লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র পায়নি। শরণখোলা উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামীমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং কক্ষ পরিদর্শক ও ওই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছেন। তবে পরীক্ষার্থী দাবী করেছে তিনি উত্তর পত্রটি জমা দিয়েছে। শরণখোলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামীম আরো জানান বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানানো হয়েছে।